ইদ্দত মামলায় খালাস পেলেও স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির। পাকিস্তানের আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ইদ্দত বা ইসলামিক বিধিবহির্ভূত বিবাহ মামলায় ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী খালাস পাওয়ার এক দিন পরেই তাঁদের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু কারাগারের ফটকেই পুনরায় নতুন এক মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
এর আগে পাকিস্তানের একটি জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইদ্দত মামলা বাতিল করেন। অতিরিক্ত দায়রা জজ মুহাম্মদ আফজাল মাজোকা সংক্ষিপ্ত আদেশে তাঁদের খালাস দেন।
সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা তাদের বিরুদ্ধে অনৈসলামিকভাবে বিয়ের অভিযোগ আনেন। এবং তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় তাঁদের সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা হয়েছিল।
ইদ্দত মামলার রায় ঘোষণার পরপরই পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন–সংক্রান্ত সংস্থা তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে তোশাখানার উপহার বিক্রিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালত এনএবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁদের ২২ জুলাই আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইমরান খানের আইনজীবী জহির আব্বাস চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, ইমরান ও বুশরা বিবির ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল এনএবি।
গত জুনে ইমরান খান সাইফার মামলায় খালাস পান । বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি–সংক্রান্ত দুটি মামলার একটিতে তাঁকে ১৪ বছর এবং অন্যটিতে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। উভয় মামলার সাজা হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন। তবে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।

previous post