আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সব প্রসিকিউটর পদত্যাগ করেন। পাঁচ দিন আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন প্যানেল থেকে পদত্যাগ করেছেন চার প্রসিকিউটর। দুই দিন পর আরও তিনজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই প্রসিকিউটর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ট্রাইব্যুনালের পদত্যাগকারী সদস্য অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পদত্যাগকারীরা হলেন- সিনিয়র অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে রাষ্ট্রপক্ষের সব আইনজীবী পদত্যাগ করলেন।
এর আগে পদত্যাগ করেন- শাহিদুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, রেজিয়া সুলতানা চমন, আলতাফ উদ্দিন আহম্মেদ, সুলতান মাহমুদ সিমন, মোহাম্মদ মুখলেসুর রহমান বাদল ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
১৩ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাসুদ রানা চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীসহ চারজনের পদত্যাগের কথা জানান। অন্য তিনজন হলেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমাম ও ব্যারিস্টার শেখ মোশফেক কবীর।
পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) চলছে বিচারকাজ।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর এ দুটিকে একত্রিত একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চলছে বিচারকাজ।