সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত জেনারেল জিয়াউল আহসান দাবি করেন, ‘আয়নাঘর’ তাঁর সৃষ্টি নয়। তিনিও ‘আয়নার ঘরে’ ছিলেন বলে দাবি করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। একইসঙ্গে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে শুনানিকালে তিনি এ দাবি করেন।
জিয়াউল আহসান বলেন, ‘আয়নাঘর আমার সৃষ্টি না। আমাকেও আট দিন আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। গত ৭ আগস্ট আমাকে তুলে নেওয়া হয়। এর পর থেকে আটদিন ধরে আয়নাঘরে ছিলাম। আমি নির্দোষ। ‘
জিয়াউল আহসানের আইনজীবী নাজনীন নাহার বলেন, ‘আয়নাঘর সম্পর্কে সবাই জানেন। আয়নাঘর উনার (জিয়াউল আহসান) সৃষ্টি, এ তথ্য সত্য নয়। আয়নাঘরে তিনি অলরেড়ি আট দিন থেকে এসেছেন। ‘
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় ১৫ আগস্ট রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার একটি পাপোশে দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীর হত্যার অভিযোগে মামলা করেন তার মা আয়েশা বেগম (৪৫)।
এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম শাহজাহান আলী নিউমার্কেট থানাধীন মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের সামনে একটি পাপোস দোকানে কাজ করতেন। তিনি যথারীতি ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে দোকানে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বাদীকে জানান, শাহজাহান আলী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, শাহজাহানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে বাদী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে শাহজাহানের লাশ শনাক্ত করেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন। জিয়াউল আহসান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকও ছিলেন।
