বয়স্ক’ বাইডেনকে নিয়ে ঝামেলার অন্ত নেই। ডিবেটের পর আবারও কথায় তালগোল পাকিয়ে বসলেন। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে ‘পুতিন’ বলে ডাকলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। আবার নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টকে কথা বলতে গিয়ে কমলা হ্যারিসকে সম্বোধন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে।
ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে জেলেনস্কির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ন্যাটো নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে বাইডেন এই ভুল করেন। নিজের বক্তব্য শেষে তিনি জেলেনস্কিকে বক্তব্য রাখার জন্যে আহ্বান জানাচ্ছিলেন। বাইডেন বলে বসেন, ‘এখন আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে কথা বলার জন্যে অনুরোধ করব… লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলমেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন।’
এতে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন জেলেনস্কিকেও। ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে তা সংশোধন করে নেন বাইডেন। বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে পরাজিত করব অবশ্যই’। পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য করেন জেলেনস্কিও।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ভুলবসত প্রেসিডেন্ট পুতিন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বাইডেন ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে আবারও তার মানসিক তীক্ষ্ণতা সম্পর্কে উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মিত্র এবং অর্থদাতারা যখন তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে, তখনই আবার এই ডিবেটের জন্ম দিলেন তিনি।
ন্যাটো সামিটে তিনি কমলা হ্যারিসকে ভুল করে ট্রাম্প বলেও ডাকেন। বাইডেন বলেন, ‘আমি যদি মনে করতাম যে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন, তাহলে ট্রাম্পকে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টও বানাতাম না।’ আদতে তিনি কমলা হ্যারিসের কথা এখানে বলতে গিয়ে তাকে ভুল করে ‘ট্রাম্প’ বলেছেন।
আবার, ফিলাডেলফিয়ার ডব্লিউইউআরডি রেডিও স্টেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন নিজেকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, আমিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী যিনি কিনা একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা বলতে গিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করে বসেন তিনি।
এরপর ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেওয়া কোনো দেশের নেতাই বাইডেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় বা তার সক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি।
‘মুখ ফসকে কথায় ভুল হতেই পারে, এটা আমার সঙ্গেও হয়েছে’ বলে বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

previous post