তেহরানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, হামাস নেতার রক্তের বদলা নেয়া এখন ইরানের কর্তব্য।
৩০ জুলাই মঙ্গলবার অন্যান্য ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথানুষ্ঠানে যোগ দেন ইসমাইল হানিয়া। ৩১ জুলাই বুধবার ভোরে তেহরানে তার বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, হানিয়াহকে ‘কাপুরুষোচিত’ হত্যার জন্য ইযরায়েলের ‘অনুশোচনা’ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইরান তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সম্মান গর্ব এবং মর্যাদা রক্ষা করবে।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়া এখন ইরানের কর্তব্য।’ এজন্য তিনি ইসরাইলকে কঠিন শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
খামেনি জানান, হানিয়া বহু বছর ধরেই ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছিলেন। এজন্য তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত ছিলেন। এমনকি এ সংগ্রামের জন্য তিনি তার কাছের মানুষ এবং সন্তানদেরও উৎসর্গ করেছেন। এত কিছুর পরও তিনি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে লড়াই করতে ভয় পাননি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথানুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরান যান। কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। হামাস ও ইরানের রিভোল্যুশনারি গার্ড কোর তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হামাস জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার লাশ কাতারে নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় তার দাফন করা হবে।

previous post
next post