ইরানের পরিস্থিতির একটা বড় পরিবর্তন ঘটে গেল। ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। গত ৫ জুলাই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান কট্টরপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদ জালিলিকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন।
তিন কোটিরও বেশি ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। পেজেশকিয়ান ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পাওয়ায় তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জালিলি পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।ইরানে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার পর ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে।
ইরানের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটা উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচনের ফলাফল কি ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ক্ষেত্রে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে? ইরানের পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে এই ফলাফল কি কোনো প্রভাব রাখতে পারবে?
অ্যামেরিকা মনে করে নতুন প্রেসিডেন্ট এলেও তার অধীনে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইরানের অবস্থানে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না।
গত সোমবার অ্যামেরিকা স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মনে করি না ইরান যে পথে এগোচ্ছে, এই নির্বাচনের ফলে সেসবে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে।
তবে নতুন প্রেসিডেন্ট যদি এই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে অ্যামেরিকা তাকে স্বাগত জানাবে বলে মন্তব্য করেন মিলার, ‘তবে নতুন প্রেসিডেন্ট যদি ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ সীমিত করতে পারেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা তৈরি করে এমন কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে পারেন, তাহলে সেসব পদক্ষেপকে আমরা তাকে স্বাগত জানাব।’
মিলার যোগ করেন, ‘তবে এমন কিছু হবে বলে যে আমরা বিশ্বাস করি না, তা বলাই বাহুল্য।’
previous post