বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও অভিভাবক তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভের কারণে বন্ধ হয়ে যায় কলেজের সামনের সড়কের যান চলাচল।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরে পুলিশ তাঁদের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের পর বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। আমরা যেকোনো মূল্যে এ ধরনের অন্যায় বন্ধের দাবি করছি।
সমাবেশে উপস্থিত এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কিন্তু আমি পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছি না। কারণ, পুলিশ আমার সহপাঠী ভাইকে কোনো প্রকার অপরাধ ছাড়া ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমরা আমাদের ভাইকে জেলে রেখে আর কোনো পরীক্ষায় বসতে পারব না।’
বক্তব্যে রাকিব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সরকার আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকায়, আমার বাবার পরিশ্রমের টাকায় গুলি কিনেছে দেশের স্বার্থে কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু সেই গুলি দিয়েই আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ অন্যায় মেনে নেব না। আমরা প্রতিটি হত্যার বিচার চাই।’
কর্মসূচিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। তাঁরা প্রথমে সমাবেশ করে বক্তব্য দেন। পরে কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চারপাশ। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নেন অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক। তারাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।
previous post