মো: খলিলুর রহমান। একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে নিউইয়র্কে পরিচিত। বাংলাদেশ থেকে দুচোখ ভরা স্বপ্ন আর পাহাড় সমান দায়িত্ব নিয়ে যে পাড়ি জমিয়েছিল সুদূর আমেরিকায়।
একসময় অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তবে দিনে দিনে প্রচণ্ড পরিশ্রমে নিজেই হয়ে উঠলেন উদ্যোক্তা; নিজের নামে খুললেন রেস্টুরেন্ট। ‘খলিল বিরিয়ানি’ নামের প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। যার পথ ধরে তিনি একে একে প্রতিষ্ঠা করেছেন আরও কিছু প্রতিষ্ঠান।
হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম, দৃঢ় অধ্যাবসায় এবং প্রতিষ্ঠিত হবার সুক্ষ্ণ লক্ষ্য তাকে কিচেন সহকারী থেকে রেস্টুরেন্টসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন।
কর্মনিষ্ঠা আর সৎ প্রচেষ্টাই তাকে সাফল্য এনে দিয়েছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট এই সূর্য সন্তান। মানুষের ভালোবাসাই তার চলার পথের পাথেয়। যে আস্থা অর্জন করেছেন তা ধরে রাখার সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সর্বদা সচেষ্ঠ তিনি।
খলিলুর রহমান বাংলাদেশের বিরিয়ানীকে আন্তর্জাতিক একটি ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। এইরমধ্যে বিভিন্ন দেশের মানুষ তার রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের খাবারের স্বাদ নিতে আসে। ভবিষ্যতে নিউইয়র্কের অন্যান্য এলাকাসহ অ্যামেরিকার অন্যান্য স্টেইটশাখা খোলার পরিকল্পনা তার। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জুড়ে রয়েছে কমিউনিটির কল্যাণের লক্ষ্য।
জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য সততা ও অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই; মোঃ খলিলুর রহমান তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অর্জন করেছেন নানা স্বীকৃতি। আর তার সাফল্যের পালকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে পাওয়া প্রেসিডেন্টশিয়াল অ্যাওয়ার্ড।
তিনি একজন সার্টিফায়েড সেফ। নতুন নতুন রেসিপি মানুষকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করেন। সামাজিক উন্নয়নমূলক নানা কাজেও ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন। সেজন্য খলিল বিরিয়ানি শুধু একটি রেস্টোরান্ট নয়, এটি হয়ে উঠেছে কমিউনিটির একনিষ্ট সেবক।
previous post
next post