সুলতানা রহমান,
বাংলার মানুষের হৃদয় মায়া আর আবেগে ভরপুর। সুফিরা মায়া দিয়ে এ অন্চলে ইসলাম প্রচার করতে সফল হন। সম্রাট আকবর, নবাব সিরাজুদ্দৌলা আজো বাংলার মানুষের গর্বের শাসক। ইসলামের সঙ্গে বাঙ্গালীর কোনো কালেই সেরকম বিরোধ বিদ্বেষ ছিলোনা। বিরোধ হচ্ছে ত্বরিকায়।
এই বাউল সাধক সুফি ফকিরদের মাজারে যেয়ে কেউ যদি শান্তি পায়, তাতে অন্যদের সমস্যা কোথায়? কারো কোনো সমস্যা নাই কেবল ওহাবি গোষ্ঠী ছাড়া। শান্তির ধর্ম ইসলামের নামে কট্টর জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য বহুকাল ধরেই ওহাবিরা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এইবার জামাতের হাতে যেহেতু সব কিছুর নিয়ন্ত্রন, তাই তারা মরণ কামড় দিচ্ছে।
ওদিকে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে চরম ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
আগে কিছু তথ্য পেতাম, তা মিলিয়ে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা করা যেতো। এখন সবই ধোয়াশা।
যারা এখনো ভাবছেন বিপ্লব করেছেন, বোকার স্বর্গে আছেন।
যারা ভাবছেন স্বাধীনতা এনেছেন, তারা চরমতম অদূরদর্শী।
আর আওয়ামীলীগের যারা ভাবছেন-দেশের মানুষ শিগগিরই আবার আপনাদের খুঁজবে, তাইলে আপনারা পাগল, মূর্খ। আওয়ামীলীগের দুর্নীতি এবং অপশাসনে মানুষ এতোই অতিষ্ট তারা বরং এই অরাজকতার মধ্যেই থাকতে চায়। আওয়ামীলীগ মানুষের কাছ থেকে এতোই বিচ্ছিন্ন যে এখনো তাদের বোধোদয় হয়নি, মানুষের পালস বুঝতে অক্ষম।
মোদ্দা কথা- দেশটা আর দেশ নাই। ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়েই নতুন কিছু সৃষ্টি হয়। কিন্তু দেশ এখন নেতৃত্বের সংকটে। নেতা একদিনে হয়না॥ আন্দোলনকারীদের মধ্যে যারা নেতা বা নেতৃত্ব দেখছে তাঁরাও বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।
এই মুহূর্তে একজন নেতার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। যিনি সব মত পথের মানুষকে একই সূতায় বাঁধবেন স্বাধীন অখন্ড বাংলাদেশে।