বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারী সকল আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলে, এই ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন আরও কয়েকজন সমন্বয়ক।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী সারা দেশে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ সমাবেশ এর কারণে বেলা সোয়া ১টার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরকে কেন্দ্র করে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের উপস্থিতি।
অপরদিকে , বেলা ১২টার দিকে আজমপুরে সড়কে এবং উত্তরার অলিগলিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মহাখালীতেও বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জামায়াত-শিবিরের দুষ্কৃতিকারীরা আবারও ঝামেলা করতে পারে বলে জানান ডিএমপির গুলশান জোনের ডিসি রিফাত রহমান শামীম।
তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনারা ভয় পাবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আপনাদের নিরাপত্তা দেবে ।
এরআগে, ডিবি কার্যালয় থেকে সকল আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কারী। তারা সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিও জানান একটি লিখিত ও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে।
লিখিত বার্তাটিতে বলা হয়, আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছেন। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।
এর পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের জিম্মি করে, ব্ল্যাকমেইল করে এই লিখিত বক্তব্য পাঠ করানো হয়েছে। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিবৃতি আদায় ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।
সরকারের দাবি, বিএনপি ও জামায়াত–শিবিরের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছদ্মবেশে প্রবেশ করে সহিংসতা সৃষ্টি করে। বিটিভি, বনানীর সেতুভবন, মহাখালির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, মেট্রোরেল স্টেশনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
previous post
next post