কামালা হ্যারিস যদি আগামী নির্বাচনে জিতে যান এবং অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে ইসরায়েলের অস্তিত্ব হুঁমকির মুখে পড়বে বলে দাবি করেছেন অ্যামেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবিসি নিউজের আয়োজনে ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত সরাসরি ডিবেট অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে গাজায় যুদ্ধ বাঁধত না। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসন ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলেও দাবি করেন।
স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ‘প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট শুরু হয়। ডিবেট মঞ্চে প্রবেশ করেই ট্রাম্পের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন কামালা। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হাসিমুখে করমর্দন করেন। এরপর কামালার বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় ডিবেট।
সারা বিশ্বের মানুষের আগ্রহের তুঙ্গে থাকা এ ডিবেটটি বিবিসি, সিএনএন, চ্যানেল ফোরসহ বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে।
আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে এই ডিবেটটিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ডিবেটে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কামালা হ্যারিস সম্পর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প বলেন, কামালা হ্যারিস ইসরায়েলকে ঘৃণা করেন। এমনক তিনি আরব জনগোষ্ঠীকেও ঘৃণা করেন। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট হলে পুরো এলাকাটিই উড়িয়ে দেবেন, যেখানে আরব, ইহুদি ও ইসরায়েলি মানুষ বাস করেন।’
এবারের ডিবেটে কিছু নিয়ম বেঁধে দেয়া হয়। দুইটি বিরতিসহ ৯০ মিনিট চলবে ডিবেট। একজন প্রার্থীর বক্তব্যের সময় বন্ধ থাকবে অন্যজনের মাইক্রোফোন।
প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দিতে দুই মিনিট সময় পাবেন ট্রাম্প ও হ্যারিস। যুক্তি খণ্ডনে দেওয়া হবে আরও দুই মিনিট।
ডিবেটটি সঞ্চালনা করছেন এবিসি নিউজের সাংবাদিক ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। ডিবেট চলাকালীন বাইরের কেউ প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না, এমনকি বিরতি চলাকালেও না। কোনো প্রার্থীই কোনো রকম চিরকুট সঙ্গে রাখতে পারবেন না।

previous post
next post