টেক্সাসের অস্টিনে সিভিল রাইটস অ্যাক্টের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, অ্যামেরিকায় কোন রাজা নেই, আইনের কাছে সবাই সমান। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় বলে উল্লেখ করে বাইডেন আরো বলেন, একজন প্রেসিডেন্ট শপথ ভঙ্গ করলেও তার কোন পরিনতি ভোগ করতে হবে না এমন সুযোগ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়।
প্রেসিডেন্ট এর ক্ষমতা কোন আইনে সীমাবদ্ধ করা যাবে না এটিকে একটি বিপদজনক নীতি অভিহিত করেন বাইডেন।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের রক্ষণশীল দুই বিচারপতির বিলাসীতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বাইডেন জানান তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই সুপ্রিমকোর্টের বিষয়ে একটি দ্বী-দলীয় প্রেসিডেনশিয়াল কমিশন আহ্বান করেন। যেখানে বিশেষজ্ঞরা সর্বোচ্চ আদালতের সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন।
দেশের স্বার্থেই সুপ্রিম কোর্টের সংস্কার এবং সংবিধান প্রয়োজন বলে জানান বাইডেন।
বাইডেনের তিনটি প্রস্তাবের, প্রথম প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্ট সহ দেশের সবাইকে অপরাধের জন্য আইনের আওতায় আনতে সংবিধানে সংশোধন। যার ফলে দেশের প্রেসিডেন্ট কোন অপরাধ থেকে মুক্তি পাবেন না।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের দায়িত্ব পালনের সর্বোচ্চ মেয়াদ ১৮ বছর এবং তাদের জন্য বাধ্যতামূলক আচরণ বিধি প্রণয়নের জন্য আরো দুটি প্রস্তাব রাখেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এ সময় বাইডেন বলেন হাউয স্পিকার মাইক জনসন হয়তো তারই প্রস্তাব কংগ্রেসে ওঠা মাত্রই বাতিলের কথা ভাবছেন।
এর আগেও ওয়াশিংটন পোস্টে কলামের প্রেসিডেন্ট বাইডেন আর এইসব প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
কলামে বাইডেন লিখেন দেশ একটি সহজ কিন্তু গভীর নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রেসিডেন্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট এর বিচারপতিরাও নন।

previous post