বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মেধাভিত্তিক পদ্ধতির পক্ষে কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে টানা বেশ কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ঢাকায় শিক্ষার্থীরাও সড়কে অবস্থান নেয়ায় কয়েকটি স্থানে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে তাদের এই আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা চালালে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।
সারা দেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের হামলা, কোটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং কোটা প্রথার যৌক্তিক সমাধানের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। একইসঙ্গে চলমান বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির তিনি।
অন্যদিকে, ছাত্রলীগও তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে এবং বেলা দেড়টা থেকেই দেশজুড়ে এ বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা।
হামলায় ঢাকায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে ঢুকেও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক।
প্রশ্নে বলা হয়, কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সরকার প্রধানের বক্তব্যের পরদিনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় চালায়। যেখানে অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে ঢুকেও যেসব আহত শিক্ষার্থীরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছিলো তাদের ওপরও হামলা চালিয়েছেন। বাংলাদেশে চলমান এই বিক্ষোভ নিয়ে আপনাদের অবস্থান কী?
জবাবে মিলার জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিষয়ে অ্যামেরিকা অবগত রয়েছে। ‘এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২ জন নিহত এবং হামলায় শতশত বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’
মিলার আরও বলেন, মত প্রকাশ এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা যেকোনো বিকাশমান গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা নিন্দা জানাই।
previous post