বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে গুলিবিদ্ধ আরও একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাঁর নাম বাবুল হাওলাদার । এ নিয়ে এ পর্যন্ত ২১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
২৮ জুলাই রোববার রাতে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে বাসায় ফেরার পথে হাতিরঝিল থানাধীন পলাশবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন বাবুল। তিনি রংমিস্ত্রির কাজ করতেন।
নিহতের শ্যালক সাজু বেপারী বলেন, তাঁর দুলাভাইয়ের বাঁ হাত ও গলার নিচে গুলি লেগেছিল। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মারা যান তিনি।
বাবুলের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার আপোর পশ্চিমপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম জাবেদ আলী হাওলাদার। তিনি ঢাকার রামপুরার উলন নারিকেলবাগ আবাসিক এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী বিক্ষোভ-সংঘর্ষে বেশি মৃত্যু হয়েছে শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবী মানুষের। হাসপাতাল, স্বজন ও মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সূত্রে সংঘর্ষ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে বয়স, পেশা, আঘাতের ধরন এবং কোন এলাকায় আহত অথবা নিহত হয়েছিলেন, তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে ১৫০ জনের। এর মধ্যে ১১৩ জন শিশু, কিশোর ও তরুণ।
previous post