New York Bangla Life
বাংলাদেশ

খুলনায় শিক্ষার্থী পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত খুলনায় গণমিছিল কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের হয়। সংঘর্ষে অর্ধশত আহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়।

দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের সংঘর্ষে নগরীর গল্লামারী থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষকালে পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নগরীর গল্লামারী এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ পরিস্থিতিতে খুলনা মহানগরীর মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যার বিচার দাবিসহ ৯ দফা দাবিতে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নিউমার্কেট ঘুরে কেডিএ মসজিদের সামনে দিয়ে গল্লামারীর দিকে রওনা দেন। মিছিলটি সোনাডাঙ্গা থানার সামনে পৌঁছালে মিছিলের পেছন থেকে সোনাডাঙ্গা থানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক পার হওয়ার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গল্লামারী মোড় থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পুলিশ এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। শিক্ষার্থীরা নগরীর জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেয়। জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ফের সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নগরীর গল্লামারী এলাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আগুন দিয়ে পুলিশের একটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এ ছাড়া বেশ কিছু দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।

সংঘর্ষকালে শিববাড়ী এলাকা, এম এ বারী সড়ক, সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী, জিরো পয়েন্ট এলাকাসহ পুরো নগরীতে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে বাধা দিয়েছে, গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরীর এমএ বারী সড়কের কাঁচাবাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলছিল। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। তাঁদেরও সাঁজোয়া যান নিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানেও টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাচ্ছিলেন খুবি শিক্ষার্থীরা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়ে মাইকে ঘোষণা করেন, খুবির বেশ কিছু শিক্ষার্থী সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল এলাকায় আটকে পড়েছে। আপনারা তাঁদের উদ্ধার করে খুবি ক্যাম্পাসে পৌঁছে দিন।

এ ছাড়া খুবির ৬ জন ছাত্রী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়ে খুলনা ক্যাম্পাসে আটকা পড়েন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাদের সহপাঠীরা অ্যাম্বুলেন্সের পাঠানোর জন্য সহযোগিতা চান।

Related posts

চট্টগ্রামে পাকিস্তানি জাহাজ : আমদানি ৩৭০ ; রফতানি ২৮৮ খালি কন্টেইনার

Ny Bangla

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ২ উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন

producer

শিক্ষকদের অসম্মান করা কি নতুন বাংলাদেশে মানায়?

Ny Bangla

ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গ্রেফতার

Ny Bangla

বাংলাদেশে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

Ny Bangla

নিজ বাসায় নির্যাতনের শিকার সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ

Ny Bangla

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy