শ্রাবণেই ‘বসন্ত’ নেমে এসেছে বাংলায়। তারুণ্যের রক্তে রাঙা বসন্তের ফুল ফুটেছে নতুন ইতিহাসের পরতে পরতে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের সেই স্মৃতি ধারণ করছে শিক্ষার্থীদের আঁকা গ্রাফিতিগুলোতে।
আন্দোলনের সময় গুলির সামনে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ, মুগ্ধর পানি বিলিয়ে চলাসহ আলোচিত নানা স্লোগান আর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আন্দোলন দমানোর কূটকৌশলের নানা দৃশ্য ফুটে উঠেছে এসব গ্রাফিতিতে।
সেই সঙ্গে আগামীর নতুন বাংলাদেশ, সাম্য ও বৈষম্যহীনতার বার্তাও রয়েছে সেখানে। রং আর তুলির আঁচড়ে তা ফুটিয়ে তুলছেন দেশ কাঁপানো এই আন্দোলনে যুক্ত থাকা শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা শহরের হাসপাতাল সড়ক, থানার মোড়, ঘুরে দেখা যায়, কেউ দেয়াল ঘষে পরিষ্কার করছে, কেউ বা সেখানে রঙের প্রলেপ দিচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যস্ত গ্রাফিতি আঁকায়। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।
এখন রাজনৈতিক পোস্টারের ভারে ক্লান্ত এলাকার দেয়ালগুলোতে নতুন জীবন দিচ্ছে তারা। শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ছোট ছোট দল এই আঁকাআঁকির কাজ করছে। তাদের আঁকা দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতিতে চোখ জুড়াচ্ছে শহরবাসীর।
শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবিতে আন্দোলনের দৃশ্য ফুটে উঠছে। রঙের কাজে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা জানান, দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা শিক্ষার্থীদের একটি সৃজনশীল এবং প্রতিবাদী কর্মকাণ্ড। এতে সমাজের নানা সমস্যার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা, রাজনৈতিক বা সামাজিক প্রতিবাদ সাধারণের সামনে তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা এবং শিল্পীসভার প্রকাশও হচ্ছে এতে। সবাই একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই। সেই বার্তাও রয়েছে গ্রাফিতিতে।
সবাই মিলে এই আন্দোলন করেছে। সবাই মিলেই একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে করছে। গ্রাফিতির আঁকা ও লেখায় সেই বার্তাই সবাইকে দিতে চাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছাত্র-জনতা প্রতিবাদের ভাষা জানে।
তারা বাংলাদেশের জন্য নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। সেই অর্জন ও স্বপ্নের কথাই তুলে ধরতে চায় শিক্ষার্থীরা।