প্রায় ১০ বছর পর চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে যোগ দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বিএনপি মহাসচিব জানান, দীর্ঘদিন পর চীনের সঙ্গে বিএনপির আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
শিক্ষার্থীদের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের দীর্ঘ ১০ বছর পর চীন ও বিএনপির মধ্যে এই বৈঠক হয়। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পর রাষ্ট্রদূত পেয়ে আনন্দিত বিএনপি। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। বাংলাদেশ স্থিতিশীল হবে, অব্যাহত থাকবে। চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তারও সমর্থন রয়েছে।
previous post