জোরপূর্বক গুমের শিকার মানুষের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক দিবসের এক দিন আগে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে অন্তর্ভুক্তির জন্য স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় এ কনভেনশনে সই করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।
এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
বিবৃতিতে ড. ইউনূস এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক উপলক্ষ্য’ বলে আখ্যা দেন।
আগামী ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী দিবস। তার একদিন আগেই বলপূর্বক গুমের বিরুদ্ধ এই সনদে স্বাক্ষর করলো বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে অন্তর্বর্তী সরকার এই সপ্তাহের শুরুতে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার’।
জানা গেছে, গুমবিরোধী সনদটি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পরে ২০১০ সালে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়।
সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এই সনদে যুক্ত হয়েছে।

previous post
next post