দক্ষিণ চীন সাগরের আধিপত্য বিস্তারের জন্য চায়নার অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের ও নর্থ কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্র কর্মসূচির কারণে নতুন করে পরিকল্পনা করছে জাপান ও অ্যামেরিকা।
এ ছাড়া চায়না ও নর্থ কোরিয়া উভয়ই ইউক্রেইনের বিপক্ষে যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তাই চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতার নিন্দা জানিয়েছে ওয়াশিংটন ও টোকিও।
টোকিওতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ বৈঠককে বলা হয় ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক। এ বৈঠকের চায়নার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক আগ্রাসনকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছেন এই নেতারা।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী জাপানে অবস্থিত অ্যামেরিকান বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হবে বলে যৌথ এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এর পাশাপাশি শান্তিকালীন ও দুর্যোগকালীন সময়ে যৌথ দ্বিপাক্ষিক অপারেশনে সহযোগিতার সুবিধার্থে যৌথ বাহিনীর একটি প্রধান কার্যালয় ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এর কমান্ডারের কাছে নিয়মিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বৈঠকের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিত্রতার আধুনিকায়ন ও নিয়ন্ত্রণের নেয়া উভয় দেশের এই ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ এর প্রশংসা করেছেন অস্টিন।
তিনি বলেন, ‘জাপানে অ্যামেরিকান বাহিনীর মোতায়েনের পর থেকে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন। জাপানের সঙ্গে আমাদের ৭০ বছরের সামরিক সম্পর্কের ইতিহাসে এটি অন্যতম শক্তিশালী উন্নয়নও হতে যাচ্ছে।’
previous post