বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এরমধ্যে গুরুতর আহত হয়ে ৫ জন সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন সড়কে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় প্রশাসনিক ভবনের সামনের মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছোড়া শুরু করে।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরাও নিকটবর্তী পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।
চিকিৎসাকেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. রেজওয়ানুর রহমান বলেন, পুলিশের টিয়ারশেল ও ছররা গুলিতে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে আমাদের এখানে এসেছেন।
এর মধ্যে পাঁচজন গুরুতর আহত হওয়ায় সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকায় অবস্থান করছিলেন। হটাৎ পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এরপর শিক্ষার্থীরা ভাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা, পরিবহন চত্বর ও ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের দিক থেকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় ছররা গুলি, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে থাকে। কিছুক্ষণ পর ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। যদিও হামলার প্রায় একঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা ফের পুলিশকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হল এবং পরিবহন চত্বরের দিকে চলে যান এবং পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এরপর শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।