ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। দলটি এখন অন্য রাজনৈতিক দলের মতো কাজ করছে।
তবে জামায়াতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও তাদের সঙ্গে ভারতের কোনো ধরনের সম্পর্ক বা কোনো যোগাযোগ থাকবে না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটির এক কর্মকর্তা এবিপি লাইভকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্তে অটল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবে না।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভারত আশঙ্কা করছে যে জামায়াতে ইসলামী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির শীঘ্রই মূলধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করবে। এটা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক হলে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তাদের দুজনেরই ২২-২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
তবে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অতীতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ ছিল। তবে গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এ যোগাযোগ কমে যায়। ভারতের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক এখন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
২০১৩ সালে শেখ হাসিনা সরকার প্রথম জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। সে সময় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘনের অভিযোগে দলটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি জামায়াত।
শিক্ষার্থীদের গণবিপ্লবের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। মাত্র চার দিন আগে তারা জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিল ।
পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে জামায়াত।
previous post