জুরাছড়িতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাথে মারামারি খবরে জুরাছড়িতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া সেনা জোনের জোন কমান্ডার জুলফিকলী আরমান তার দুই সৈনিক নিয়ে সাদা পোশাকে উপজেলা সদরে ইভিনিং ওয়াকে বের হন। সাদা পোশাকে তিন চাকমা পুলিশ সদস্য দোকানের পাশে বসে চা খাচ্ছিলেন । এমন সময় দুই সেনা সদস্য তিন চাকমা পুলিশকে চর-থাপ্পর মারে। এতে চাকমা পুলিশরাও দুই সেনার সাথে হাতাহাতি করেন। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, সেনাবাহিনীর জোন কমান্ডারকে সালাম না দেয়ায় দুই সেনা সদস্য তিন চাকমা পুলিশকে চর-থাপ্পর মারে এবং সেটা হাতাহাতিতে রুপান্তরিত হয়। স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে একসময় জোন কমান্ডার ও দুই সেনা সদস্য ক্যাম্পে ফিরে যান। পুলিশ সদস্যরা থানায় ফিরে যান।
এর কিছুক্ষণ পর জোন কমান্ডার এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য থানায় উপস্থিত হন এবং কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে থানা ভিতরে প্রবেশ করে তিন চাকমা পুলিশ সদস্যকে লাঠ-ঘুষি দিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। সেনা সদস্যরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-কেও ব্যাপক মারধরও করেন। এরপর সেনা সদস্যরা চাকমা পুলিশদের বেঁধে বনযোগীছড়া জোনে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন। জানা গেছে, পুলিশদের হাত/পাও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সেনা সদস্যরা বাজারে একদল দোকানদারকে দিয়ে থানা ও পুলিশের দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ তুলে, শ্লোগান দিয়ে মিছিল করতে বাধ্য করছে আবার সেনা সদস্যরা নিজেরাই থানায় অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত জনতা অগ্নিসংযোগ করেছে বলে প্রচার করছে।এই নিয়ে এলাকায় জনগণের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে ।