১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ: সিপিডি
বিগত সরকারের আমলে ১৫ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য অনেক অনিয়ম করে, যার ফলে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
রাজধানীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন টাকা আত্মসাৎ এর দাবি জানিয়েছেন।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।
সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০২৩ এই ১৫ বছরে ২৪টি বড় ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে প্রায় ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
সিপিডির তথ্য থেকে আরও জানা যায়, গত ১৫ বছরে আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ বা জিডিপির ২ শতাংশের সমান।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে এবং সময়মতো তথ্যের সততা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, খেলাপি ঋণ অব্যাহতভাবে বেড়েছে। ২০০৯ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ করার জন্য সিআইডি ৭৯ বার সময় নিয়েছে। নতুন সময় ৪ সেপ্টেম্বর। ভবিষ্যতে এমন দেখতে চাই না। আমরা চাই ওই তদন্ত প্রতিবেদন উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।
সিপিডি আরও বলেছে, স্বজনতোষী পুঁজিবাদীদের দখলে চলে যাওয়ার পর আগের কয়েকটি ভালো ব্যাংকের পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে গেছে।
ধসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে নয় কিন্তু তারপরও পারফরম্যান্স খারাপ, এমন ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা ও বোর্ড অভ ডিরেক্টরদের সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলেও দাবি তুলেছে সংস্থাটি।
———————————————————-
আরো আপডেট খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন এবং আপডেট নিউজ ভিডিও দেখতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ।