সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজের ওপর নির্বাচনি প্রচারণামূলক সমাবেশে হামলার পর সবার প্রতি ঐক্য ও ধৈর্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন । এদিকে হামলাকে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই।
ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত হামলাকারীর বিষয়ে সবার কাছে অজানাই রয়ে গেছে। সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে একাই এই হামলার পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেছেন হামলাকারী বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
হামলার পরপরই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হামলার বিষয়ে অবহিত করা হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সমাবেশে উপস্থিত জনতার মধ্যেও একজন নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হন।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘ আমি বুঝতে পারি যে কোন একটা সমস্যা রয়েছে। এরপর আমি গুলির শব্দ শুনি এবং তাৎক্ষণিকভাবে সেটি আমার কান ভেদ করে যাওয়ার ব্যাপারটি অনুভব করি।’
পেনসলভেনিয়ার গভর্নর জশ শ্যাপিরো জানিয়েছেন, সমাবেশে উপস্থিত জনতার মধ্যে নিহত ব্যক্তির নাম কোরি কম্পার্যাটোর। পেনসলভেনিয়ার ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সাবেক প্রধান ছিলেন।
বাইডেন হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন । এই বিষয়ে অ্যামেরিকানদের উদ্দেশ্যে ভাষণও দেন তিনি।
এফবিআই জানিয়েছে, হামলাকারী ২০ বছর বয়সী টমাস ম্যাথু ক্রুকস পেনসিলভেনিয়ার বেথেল পার্ক এর বাসিন্দা যেটি হামলার স্থান থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে অবস্থিত।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দুইজন সদস্য বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) কে জানিয়েছেন, তার বাবার এআর স্টাইল বন্দুক নিয়ে যখন টমাস নিকটবর্তী একটি ছাদে ওঠেন। তখন সমাবেশে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি তাকে দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানান তারা।
বিষয়টি জানার পর স্থানীয় একজন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য মই বেয়ে ছাদে ওঠেন এবং তাকে দেখতে পান। পরক্ষণেই বন্দুকধারী ব্যক্তি ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। ওই সময়ই ইউএস সিক্রেট সার্ভিস এর একজন সদস্য টমাসকে লক্ষ্য করে গুলি করেন।
ট্রাম্পের সমাবেশস্থলে ওই বন্দুকধারী ব্যক্তি কীভাবে এতটা কাছে অবস্থান নিলেন এই প্রশ্নটি তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে।
পিটসবার্গ ফিল্ড অফিসের এজেন্ট ইন চার্জ কেভিন রোজেক বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তা তাকে হত্যা করার আগেই তিনি ট্রাম্পের দিকে গুলি চালাতে সক্ষম হন।’
টমাসের বাড়ি ও ব্যবহৃত গাড়ির মধ্যে বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এফবিআই এগুলোকে প্রাথমিক আলামত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
টমাসের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে অনুসন্ধান চালিয়েও কোন সন্দেহজনক আলামত পাননি গোয়েন্দারা। তার পরিবারের সদস্যরা সহায়তা করলেও আত্মীয়দের অনেকেই তার বিষয়ে কোন সাড়া দেননি।
previous post