রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় দীর্ঘদিন ধরেই শঙ্কিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন, ডনাল্ড ট্রাম্পের নিকটজনরা ।
এই হামলার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন ট্রাম্পের পরিবার ও বন্ধুরা বলে জানিয়েছে সিএনএন।
তবে এই ভয়াবহ হত্যা চেষ্টার পরেও পিছু হটেননি ট্রাম্প। আগামী সপ্তাহে ইউসকনসিন স্টেইটের বৃহত্তম শহর মিলওয়াকিতে, রিপাবলিকান পার্টির নির্ধারিত সম্মেলনে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে। আহত হওয়ার পরও ট্রাম্প এই সম্মেলন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পেনসিলভানিয়ার বাটলারের সমাবেশে হামলার ঘটনার পর তাকে বাটলার মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ট্রাম্পের পরিবার সেখানে উপস্থিত ছিলো।
সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা গুলির শব্দ পাওয়ার পরপরই চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ধরেন। ট্রাম্প যখন আবার উঠে দাঁড়ান, তখন তার কান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
ট্রাম্প আহত অবস্থায় উঠে দাঁড়িয়ে হাত মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় আকাশে ছুড়ে তিনবার,“ফাইট! ফাইট! ফাইট!” বলতে শোনা যায়।
তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের হামলার আশঙ্কা করছিলেন। তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন তিনি । ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প সবসময় তার নিরাপত্তার বিষয়ে অতিমাত্রায় সচেতন ছিলেন।
সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা সুরক্ষায় মধ্যে থেকেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেন ট্রাম্প। যে গুলি তার কান চিরে দিয়ে গিয়েছে সেটি আরেকটু হলে তার মাথায়ও লাগতে পারতো।