প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কামালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ সেপ্টেম্বর সরাসরি টেলিভিশন ডিবেটে অংশ নেবেন। এই ডিবেটকে সামনে রেখে প্রচারণার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। এর মাধ্যমে দুই প্রার্থী বিতর্কের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন।
পেনসিলভেনিয়া সফরে যান কামালা হ্যারিস। সেখানে পাঁচ দিন অবস্থান করবেন তিনি। সেখানে থেকেই ডিবেটের জন্য প্রস্তুতি সারবেন কামালা। এবিসির আয়োজনে এ ডিবেট অনুষ্ঠিত হবে এই স্টেইটর ফিলাডেলফিয়া শহরে। ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী মঙ্গলবারের ফিলাডেলফিয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই ডিবটের আগে পিটসবার্গের উদ্দেশে রওনা হন কামালা। সেখানে তিনি উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং ট্রাম্পকে আক্রমণের কৌশল সাজাবেন।
পিটসবার্গে নির্বাচনী প্রচারণার কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি এখন পর্যন্ত নেই কামালার। তবে তিনি ভোটারদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শেষ ছয় সপ্তাহের প্রচার লড়াইয়ে নেমেছেন কামালা। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে পেনসিলভেনিয়া ও জর্জিয়ার মতো কয়েকটি দোদুল্যমান স্টেইটর ভোটেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব স্টেইটে কোনো প্রার্থীই সুস্পষ্টভাবে ব্যবধানে এগিয়ে নেই।
নির্বাচনী প্রচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হতে যাচ্ছে আগামী মঙ্গলবারের এই বিতর্ক। এই প্রথম বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রতারণার অভিযোগ এনে এতে যোগ দেননি ট্রাম্প।
কামালা হ্যারিসের এই বিতর্ক ঘিরে ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের বিতর্কের স্মৃতি ঘুরেফিরে আসছে। গত ২৭ জুনের ওই বিতর্ক সামনে রেখে মেরিল্যান্ডের ক্যাম্প ডেভিডে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিতর্কে ভালো করতে না পেরে তাঁকে নির্বাচনী দৌড় থেকেই সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।
এদিকে আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের নিয়মকানুন মেনে নিয়েছেন কামালা হ্যারিস। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র গত বুধবার এ কথা জানিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, একজন বক্তব্য দেওয়ার সময় অন্যজনের মাইক্রোফোন বন্ধ থাকবে।
বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সেভাবে কামালার সঙ্গে বিতর্কের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে তিনি নিজের প্রচার দল ও ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত বুধবার পেনসিলভেনিয়া স্টেইটর রাজধানী হ্যারিসবার্গে ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ট্রাম্প। গতকাল লাস ভেগাসে রিপাবলিকান জিউইশ কোয়ালিশনের সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি তাঁর বক্তব্য দেওয়ার কথা। এ ছাড়া নিউইয়র্কে ইকোনমিক ক্লাবে সশরীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কামালা হ্যারিসকে সমর্থন করেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল ভ্লাদিভস্তকে রাশিয়ার ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুচকি হেসে তিনি এ সমর্থনের কথা জানান।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রথমত বাইডেন তাঁর সব সমর্থককে কামালাকে সমর্থন দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। এখানে আমরাও সেটাই করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে (কামালাকে) সমর্থন দিতে যাচ্ছি।’ এ সময় পুতিনকে মুচকি হাসতে দেখা যায়।

previous post