প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হয়েছেন। মুখে রক্ত আর তাঁকে ঘিরে রাখা নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে ট্রাম্পের মুষ্টিবদ্ধ হাতের ছবিগুলো ইতিহাস তৈরির পাশাপাশি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতিপথ পরিবর্তনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন নির্বাচনী প্রচারণায় প্রভাব ফেলবে এই মর্মান্তিক ঘটনা। সেই সঙ্গে আসন্ন নির্বাচনের মোড়ও ঘুরিয়ে দিতে পারে।
নিরাপত্তাকর্মীরা সন্দেহভাজনকে ঘটনাস্থলে গুলি করে হত্যা করেছেন। এ ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের রক্তাক্ত মুষ্টিবদ্ধ ছবি শেয়ার করে তাঁর ছেলে এরিক ট্রাম্প লেখেন, ‘এই যোদ্ধাকেই অ্যামেরিকার প্রয়োজন।
বিবিসির নর্থ আমেরিকা এডিটর সারাহ স্মিথ বলছেন, হামলায় ট্রাম্পের আহত হওয়া এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলে ফাইট বলে হার না মানার অঙ্গীকার, সেই সঙ্গে সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টদের মাধ্যমে মঞ্চ থেকে তাড়াহুড়ো করে চলে যাওয়ার অসাধারণ ছবি কেবল ইতিহাস তৈরিই নয় বরং এগুলোই দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের হিসাব নিকাশ পালটে দিতে পারে।
অ্যারিজোনার একজন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি বিগস বিবিসিকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন নির্বাচনি সমাবেশ ও যেকোনো রাজনৈতিক প্রচারণা আজকের পর থেকে আলাদা হবে।
অন্যদিকে ট্রাম্পের ওপর হামলার পর বাইডেনের নির্বাচনি প্রচারাভিযান তাদের সব রাজনৈতিক বিবৃতি স্থগিত করেছে। নির্বাচন সম্পর্কিত টেলিভিশন বিজ্ঞাপনগুলোও সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে।
এই সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আক্রমণ না করে তার ওপর হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের পাশে থাকার দিকেই মনোনিবেশ করছেন তারা।

previous post