ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনও কালো মেঘের ঘনঘটা কাটেনি বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বিগত স্বৈরশাসক সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব অনেক।
শফিকুর রহমান রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহানগর উত্তরের সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অভ্যুত্থানের হতাহতদের বীর সংগ্রামী আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁরা আমাদের আমানত। সম্মিলিতভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে। জনগণ ন্যায়বিচার ও সুশাসন চায়। এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্থবহ হবে না।
রাজনীতিতে গদি দখলের লড়াই না করে দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্রসমাজের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে জাতি। তারা জাতিকে উদ্ধার করেছে। এবার নিজেদের গড়তে হবে ছাত্রসমাজকে। তাদের প্রতি অনুরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে হবে। এবারই তাদের শেষ আত্মত্যাগ নয়, এটা সবে শুরু। জ্ঞান, দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
মুক্ত পরিবেশে সংবাদমাধ্যমকে পরিচ্ছন্ন হওয়ার আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিউ পেতে চটকদার শিরোনাম না দেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক হলেও ১৫ বছর কাজ করতে পারেনি। হত্যা, গ্রেপ্তার, নিপীড়নে তাদের মুখে তালা লাগিয়ে রাখা হয়েছিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন বলেন, রাস্তাঘাটে দাবি আদায়ের নামে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, তারা স্বৈরাচারের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে জামায়াত নেতারা বক্তৃতা করেন।