‘সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে’ — এটা ষড়যন্ত্রকারীদের নতুন ‘প্লট’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, তাদের মূল টার্গেট হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ভারতের সাহায্যে নিয়ে আবার যদি কিছু করা যায়। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলের নেতা-কর্মী এবং ছাত্র-জনতাসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস বড় নির্মম, আল্লাহ’তালার বিচার বড় নির্মম. ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার (শেখ হাসিনার) মুখ দিয়ে প্রতিশোধে জিজ্ঞাসা স্পষ্ট হয়েছিলো। আল্লাহর কি হুকুম দেখেন, সেই তাকেই পালিয়ে যেতে হলো, আবার সেই জায়গায় সেখানে তার গোঁড়া পোতা আছে। আমি সেজন্য আওয়ামী লীগারদেরকে বলছি যে, এখনো সময় আছে আপনারা আর ঝামেলা কইরেন না। কারণ ঝামেলা করলে আপনারা টিকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট তো চেষ্টা করেছিলেন যে, আপনারা যাবেন, ৩২নং এ গিয়ে ফুল দেবেন। কারো তো আপত্তি ছিলো না। কিন্তু ছাত্ররা তা হতে দেননি, হতে দেননি কেনো, এই মানুষটাকে কেউ দেখতে চায় না। খুনি হাসিনার চেহারা কেউ আর দেখতে চায় না। এক হাসিনা সারা বাংলাদেশে যত আওয়ামী লীগার ছিলো তারা ক্ষুদে হাসিনা তৈরি হয়েছে, সারাদেশে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে তারা।
তিনি বলেন, আমরা চাই, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হোক। আমরা যৌক্তিক সময়ও দিতে চাই। একটা কথা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, গণতন্ত্র গণতন্ত্র সেটার কোনো বিকল্প নাই। এই গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করছি। আমরা লড়াই করেছি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীগর বলেন, নতুন নতুন কৌশল ওরা আবিষ্কার করে। এখন নতুন একটা ধুঁয়া তুলেছে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা। সেটা কি? সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) খুব সুন্দর করে বলেছেন যে, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নাই, বাংলাদেশের সবাই বাংলাদেশী নাগরিক, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আমরা সবাই মিলে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। সেই সূত্রে যারা আজকে হিন্দু সম্প্রদায়কে তারা আলাদা করে দেখতে চায়, আমরা তাদের সঙ্গে একমত নই। তারা সবাই এক নাগরিক।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারর করে বলতে চাই, ভালোয় ভালোয় এসব ঝামেল ষড়যন্ত্র না করে আপনারা আত্মসমর্পণ করেন। যারা এখনো বাইরে আছে, এদিক-ওদিক করছেন। জানেন তো ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের কোর্টে এভাবে নেয়া হয়েছিলো এবং তারেক রহমান সাহেবকে ওইভাবে হেলমেট পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। এদের বিচার করতে হবে। এদের বিচার করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিরোধী আইনে। অর্থাৎ যে অপরাধ করেছেন, যে ক্রাইম করেছেন, গণহত্যা করেছেন, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে তার বিচার আন্তর্জাতিক আইনে হতে হবে।
previous post
next post