সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর শিক্ষার্থীদের নতুন করে রাজনৈতিক দল গঠন করতে চলেছে বলে কয়েকদিন ধরে কথা চাউর হয়ে আছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে। সংস্কারের জন্য নিজস্ব দল গঠনের পরিকল্পনা করছে তারা।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া চার শিক্ষার্থী রয়টার্সকে এ কথা বলেন। তাদের আশা, শেখ হাসিনা যেভাবে গত ১৫ বছর দেশ শাসন করেছেন তার পুনরাবৃত্তি রোধ করতেই নতুন দলের প্রয়োজন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম রয়টার্সকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল নতুন বাংলাদেশ গঠন করা। যেখানে আর ফ্যাসিজম বা স্বৈরতন্ত্র ফিরবে না।
এজন্য আমাদের কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। এতে কিছু সময় লাগবে।
আরেক সমন্বয়ক তাহমিদ চৌধুরী বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মূল ভিত্তি হবে অসাম্প্রদায়িকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা।
আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকায় থাকা মাহফুজ আলম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, দুই রাজনৈতিক দলের ওপর দেশের মানুষ ক্লান্ত-বিরক্ত। আমাদের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। এ জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনা করছেন শিক্ষার্থীরা। এক মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠনের আগে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ করতে চান তারা।
রয়টার্সকে বাকের মজুমদার জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করে মারধর করেছে। মুক্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার সময় তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন— হাসিনাকে এবার যেতে হবে।
নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হবে। কেননা এতদিন রাজনীতি থেকে তরুণদের বাদ রাখা হতো। তবে ছাত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়নি বলেও জানান তিনি।
previous post