গত ৫ আগস্ট রদবদলের পর ঢাকাসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয় সক্রিয়সহ স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই মুহুর্তে, দলটি দুটি বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে- একটি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে তার বাতিল নিবন্ধন ফিরে পাওয়াএবং দলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। অন্যদিকে ছাত্র-জনতা আন্দোলনের শেষ মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে দলটিকে নিষিদ্ধের আদেশ দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াত।
জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞা ও নিবন্ধন উভয় বিষয়ে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে হাইকোর্টের একজন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতা করেন।
এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির নিষিদ্ধ করে গত ১ আগস্ট।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারার অধীনে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জামাত, ছাত্র শিবির এবং তাদের অন্যান্য সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তিন দিন পর ৫ আগস্ট গণ-ছাত্র অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। জনরোষের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরাও আত্মগোপনে চলে যান।
এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের দিনে ৫ আগস্ট দৃশ্যপটে আসে জামায়াত। আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে একজন উপদেষ্টা অবিলম্বে জামায়াতকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ মামলায় আদালত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবে বলে আশ্বস্ত করা হয় জামায়াত নেতাদের। তবে জামায়াতের দাবি, হঠাৎ করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা শেখ হাসিনার সরকার নির্বাহী আদেশে তা প্রত্যাহার করুক।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিবন্ধনের বিষয়ে আমরা আইনি পথেই এগোব। আশা করি, আদালতে আমরা সুবিচার পাব।’
next post