ন্যাটো সদস্য হওয়ার যোগ্য দেশ ইউক্রেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোগান। তুরস্ক সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেনেলস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান এ কথা বলেন।
কৃষ্ণসাগর শস্য রপ্তানি পুনরুজ্জীবিত করতে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
ওয়াশিংটনে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা হয়।
এরদোগান বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য।’ রাশিয়া ও ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় বসারও আহ্বান জানিয়েছেন এরদোগান।
এরদোগান জেলেনস্কিকে বলেন, ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য তুরস্ক তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং শান্তি নিশ্চিত করতে মধ্যস্থতাসহ যে কোনো উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত।
দুই নেতা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের গতিপথের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিকেশনস ডিরেক্টরেট ।
রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে পুরোদমে নিজেকে রক্ষা করছে। কিয়েভ অস্ত্র সরবরাহ, তার প্রচারণার জন্য, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আকারে বেশিরভাগ মিত্রদের কাছ থেকে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে।
২০২২ সালের মস্কো আক্রমণ শুরু করার পর বন্দরগুলোতে অবরোধ থাকা সত্ত্বেও, কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য চালানকে নিরাপদে উত্তরণের অনুমতি দেওয়া অন-হোল্ড চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ তুরস্ক ছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুরস্ক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং এরদোগান কৃষ্ণসাগর শস্য উদ্যোগের মধ্যস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

previous post