অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির পুতিন ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চাচ্ছেন এবং তার আগ্রাসন ইউক্রেনে থামবে না। তাই ইউক্রেনই পুতিনকে থামাতে যা করা লাগবে এবং তা করতে হবে।
৯ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগ্যান ইনস্টিটিউটে ন্যাটোর সম্মেলনের ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাইডেনের এই বক্তব্য দেন। বাইডেন বলেন, পুতিন ইউক্রেনকে সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত করতে এবং ইউক্রেনের সংস্কৃতি ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চান।
এই সম্মেলন বাইডেনের রাজনৈতিক জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, কারণ সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে ভালো করতে না পারায় তিনি চাপের মুখে আছেন। নিজের দলের সমর্থকদের বিশ্বাস ফেরাতে এই সম্মেলনে বাইডেনকে প্রমাণ করতে হতো যে, তিনি এখনো নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
বাইডেন ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করে বলেন, ন্যাটো আগের চেয়ে এখন আরও শক্তিশালী। তিনি ট্রাম্পের সমালোচনারও জবাব দেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, ন্যাটোর যেসব সদস্য দেশ তাদের প্রতিরক্ষা খাতে যথাযথ ব্যয় করতে পারে না, সেসব দেশের জন্য অ্যামেরিকা এগিয়ে আসবে না।
বাইডেন আরও ঘোষণা দেন- জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া ও ইতালির সঙ্গে অ্যামেরিকা এক সাথে মিলে ইউক্রেনের জন্য আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও কৌশলগত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাবে।
ন্যাটো সম্মেলনে বক্তব্যে বাইডেন ন্যাটোর গুরুত্ব ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন এবং ইউক্রেনকে সমর্থনে অটল থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতিনিধি পরিষদের আইনপ্রণেতারা ও সিনেট সদস্যরা ওয়াশিংটনে পৃথক বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে বাইডেনকে প্রার্থী রাখা নিয়ে মতবিরোধ বিদ্যমান ছিল।
previous post