প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধের হুমকির বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনা করছেন না। হোয়াইট হাউযে ব্রিটেইনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
যদি পশ্চিম ইউক্রেনকে রাশিয়ায় হামলা করার জন্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তাহলেতার দেশের সঙ্গে নেইটোর যুদ্ধে জড়ানোর শামিল হবে। তাতে যুদ্ধের চরিত্রটাই বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে ‘সিদ্ধান্ত’ নিতে হবে রাশিয়াকে।
তাঁর কথা থেকে পরিষ্কার, তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের ইঙ্গিতই করেছেন। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো অর্থাৎ অ্যামেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর নামও উল্লেখ করেছেন তিনি।
পুতিনের এই হুমকিকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউয।
পুতিন বলেন, রাশিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতিতে যুদ্ধে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এর অর্থ হবে, অ্যামেরিকার নেতৃত্বে ন্যাইটো জোটভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়েছে। রাশিয়ার ওপর হামলায় ইউক্রেইনকে উস্কে দিলে পরিনতি খারাপ হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এর আগে, পুতিনের হুমকির জবাবে হোয়াইট হাউযের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন পিয়ের বলেন যে রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেন থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে পারে। পুতিনের হুমকিকে বিপজ্জনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এর আগেও একই ধরনের হুমকি দিয়েছেন।
বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ব্রিটেইনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রাশিয়াকে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অ্যামেরিকা যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন যে শুধুমাত্র রাশিয়াই এই যুদ্ধ শেষ করতে পারে এবং ইউক্রেনের অবশ্যই আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
এর আগে ইউক্রেন সফরকালে স্টেইট সেক্রেটারি অ্যান্টোনি ব্লিনকেন এবং ব্রিটেইন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি কিয়েভকে নতুন আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন। সে সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির যেলেন্সকি বলেন, যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে হবে।
পুতিন আগে রেডলাইন অতিক্রম করলে বড় আকারের যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন উল্লেখ করে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, নতুন করে পুতিনের হুমকিতে পশ্চিমা দেশগুলোর ইউক্রেন নীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা নেই।

previous post