বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে সরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে যারা চাকরি করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৪ জুলাই বিকেল ৪টার পর গণভবনে সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা প্রশ্নফাঁসে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে পারলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি কঠোর হয়েছি বলেই দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে পেরেছি, এবার দুর্নীতিও বন্ধ করবো। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৪তম বিসিএস ২০০২-০৩ এর সময় হয়েছিল। তখন কোনো পরীক্ষা নেয়া হতো না। হাওয়া ভবন থেকে তালিকা দেয়া হতো। এরপর থেকে সেই চক্রটা কীভাবে যেন ঢুকে পড়েছে।’
তৎকালীন বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সে সময়ে ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয়। একটি বিশেষ কামরা তাদের জন্য রাখা হয়, যেখানে বসে তারা পরীক্ষা দিয়ে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনো উচ্চবাচ্চ নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ অনিয়মগুলো তো তখন থেকেই শুরু।’
এছাড়া তিনি জানান, ২০০৮ এর আগে কারও কথা বলার অধিকার ছিল না।
প্রশ্ন কিনে যারা পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন তাদের খুঁজে বের করা গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যবস্থা নেব না কেন? তাদের তো চাকরি করার কোনো অধিকারই থাকবে না। কিন্তু সেটা খুঁজে দেবে কে? যদি ওরা বলে যে ওমুকের কাছে বিক্রি করেছিলাম, সেটা প্রমাণ করতে পারলে দেখা যাবে।’
এ ঘটনায় শুরু হয় তোলপাড়। প্রশ্ন ওঠে বিগত এক যুগে পিএসসির অন্তত ৩০টি চাকরির পরীক্ষায় নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশের যোগ্যতা নিয়ে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পেয়ে ২ জন সহকারী পরিচালক, আলোচিত ড্রাইভার আবেদ আলিসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
previous post