নির্বাচনের বাকি আছে আর মোটে চার মাস। এই সময় যত কমছে ততই উদ্বেগ বাড়ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বয়স নিয়ে। নিজ দল ডেমোক্রেট পার্টির ভেতরে তো বটেই সমর্থকরাও উদ্বিগ্ন।
সারা দুনিয়ার মধ্যে সবচে কঠিন দায়িত্বটি পালন করেন সবচে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বয়সের ভার আর ক্লান্তির কারনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেই দায়িত্ব পালনে কতটা সক্ষম সেই প্রশ্নই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও একটি মেয়াদে দেশ পরিচালনার জন্য জো বাইডেন মানসিকভাবে উপযুক্ত কী না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
নির্বাচনি বিতর্ক বিপর্যয়ের পর সিবিএস নিউজের করা নতুন এক জরিপের ফলাফলে বলা হচ্ছে, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই মনে করেন যে, আরও একটি মেয়াদে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার মতো মানসিক সুস্থতা জো বাইডেনের নেই। এর আগের একটি জরিপে ৬৫ শতাংশ ভোটার একই কথা বলেছিলেন।
তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ জরিপে অংশগ্রহণকারী তার নিজ দলের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোটার মনে করেন যে, জো বাইডেনে উচিৎ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলের অন্য কাউকে সুযোগ করে দেওয়া।
জো বাইডেনের বয়স এখন ৮১ বছর। কাজেই বয়স নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ বেশ আগে থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছিলো। নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত টেলিভিশন বিতর্কে জো বাইডেন প্রায়ই কথার খেই হারিয়ে ফেলছিলেন এবং তাকে খুব একটা আত্মবিশ্বাসীও দেখাচ্ছিলো না।
মূলতঃ টেলিভিশন বিতর্কের পরেই তার দলের সমর্থকদের মধ্যেই অনেকে জো বাইডেনের বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
মেরিল্যান্ডের ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান জেমি রাস্কিন এমএসএনবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দলের বর্তমান অবস্থাকে “কঠিন পরিস্থিতি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কংগ্রেসম্যান জেমি রাস্কিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে সিদ্ধান্তই নেন না কেন, দলের সদস্যরা সব সময়ই একসঙ্গে কাজ করবেন। তাছাড়া জো বাইডেনকেও দলের প্রয়োজন রয়েছে।’
ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পর্যন্ত প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, জো বাইডেন তার সেরাটা দিতে পারেননি।
মাইনরিটি লিডার হাকিম জেফরিসও এমএসএনবিসি-কে বলেছেন যে, নির্বাচনি বিতর্কটি অবশ্যই “একটি ধাক্কা ছিল”। তবে জো বাইডেন আবারও ঘুরে দাঁড়াবেন।
তবে সিবিএস নিউজের নির্বাচনি জরিপের ফলাফলের সঙ্গে অবশ্য জো বাইডেনের সমর্থকদের অনেকেই একমত নন।