অবশেষে ব্রাজিল মুক্ত বাণিজ্যের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সাথে । ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন সরকার বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই চুক্তিটি ফিলিস্তিনির অর্থনীতিকে মজবুত করবে। এতে দেশটি প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারবে। চুক্তিটি দ্রুতই বাস্তবায়ন করা হবে।
২০১০ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ব্রাজিল। দেশটির রাজধানীতে একটি ফিলিস্তিনি দূতাবাস স্থাপনের অনুমতিও দিয়েছে। শুক্রবার লাতিন অ্যামেরিকার মার্কোসুর বাণিজ্য ব্লক ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি অনুমোদন করেছে।
দক্ষিণ অ্যামেরিকাভুক্ত দেশগুলোর নিজেদের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ফোরাম রয়েছে। মার্কোসুর ট্রেড ব্লক নামের সেই ফোরামের সম্মেলন সোমবার (৮ জুলাই) শুরু হয়।
মার্কোসুর অন্যসব সদস্যরা একই পদক্ষেপ নেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মাইলির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার সরকার এটি করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য সাড়া দেয়নি।
ব্রাজিলিয়ায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আল জেবেন ব্রাজিলের সিদ্ধান্তকে সাহসী, সমর্থনমূলক এবং সময়োপযোগী বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, ফিলিস্তিনে শান্তি স্থাপনের জন্য এ চুক্তি খুব কার্যকর হবে বলে আমরা আশা করছি।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রশংসা করেন ইব্রাহিম বলেন, ‘বর্তমানে ফিলিস্তিনের সঙ্গে ব্রাজিলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বাৎসরিক ভলিউম ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হলে এই ভলিউম আরও বাড়বে।
previous post