বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে ফেনীর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহত হন।
সংঘর্ষে আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলবল নিয়ে শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে মহিপাল যান।
এসময় তারা সড়কে অবস্থানরত কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর গুলি তাক করে একটি ব্যাংকের ভেতর নিয়ে মোবাইল, প্রেস জ্যাকেট ও আইডি কার্ড কেড়ে নিয়ে মারধর করেন ।
পরে মহিপাল এলাকায় পৌঁছালে ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত গুলি ও হামলা চালান তারা।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা হামলা ও গুলির প্রতিবাদে মহিপাল পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
অপরদিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন।