সেমিফাইনালে ফ্রান্স উঠলেও তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ ছিল।ওপেন প্লে থেকে এই আসরে নিজেদের প্রথম গোলে এগিয়ে গিয়ে সমর্থকদের আনন্দে ভাসান। সুযোগ ছিল ফাইনালে উঠে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার। কিন্তু উড়ন্ত স্পেন পিছিয়ে পড়েও পাল্টা জবাব দিয়েছে জোরালোভাবে।
এর মধ্যদিয়ে দুর্দান্ত ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো দলটি। ২-১ গোলে ম্যাচটি জিতে ১২ বছর পর ফাইনালে উঠে গেলো তিনবারের যৌথ রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
ইউরো শুরুর আগে এমবাপ্পে জানিয়েছিলেন তার অপূর্ণ ইচ্ছের কথা। বলেছিলেন ইউরো জিততে কতটা মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। তবে তার সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে সেমিফাইনালে এসে। স্পেনের বিপক্ষে দলকে জেতাতে পারেননি এমবাপ্পে।
অথচ, এদিন ম্যাচের প্রথম গোলটা ফ্রান্সকে পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন এমবাপ্পেই। ম্যাচের ৯ মিনিটেই ম্যাচে লিড নেয় ফ্রান্স। এমবাপ্পের বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে নেন কালো মুয়ানি। তবে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি স্পেন। ম্যাচের ২১ মিনিটে স্পেনের বিস্ময় বালক লামিলে ইয়ামাল গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।
ম্যাচে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন লামিনে ইয়ামাল। স্পেনের রাইট উইঙ্গার মাঠে নেমেই পেলের রেকর্ড ভেঙেছেন। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তিকে পেছনে ফেলে মেজর টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান ১৬ বছর বয়সী ইয়ামাল। তারপর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোতে করেছেন গোল।
সেই গোলের রেশ না কাটতেই ফের গোল খায় ফ্রান্স। এ দফায় স্পেনকে এগিয়ে নেন দানি ওলমো। ওখানেই শেষ ফ্রান্সের ইউরোর ফাইনালে উঠার স্বপ্ন।
এরপর প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফেরা হয়ে উঠেনি ফ্রান্সের। চেষ্টার কমতি ছিল না দ্বিতীয়ার্ধেও। তবে তাদের সব চেষ্টা এদিন দক্ষতার সঙ্গেই রুখে দিয়েছে স্প্যানিশ রক্ষণভাগ।
দলীয় প্রচেষ্টা ছাড়াও এমবাপ্পে একক নৈপুণ্যে বেশ কয়েকবার আক্রমণ শানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কিছুতেই কিছু হয়নি। পাল্টা আক্রমণে এসে ৮১ মিনিটে শট নেয় ইয়ামাল। তবে তার সেই শট বার ঘেঁসে বাইরে চলে যায়।
এরপর যদিও ৮৬ মিনিটে ম্যাচে সমতা টানার সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। দারুণ এক আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি হলেও সেটি নষ্ট করেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে শেষ হয় ফ্রান্সের ইউরো যাত্রা।
২০১২ সালে তৃতীয়বার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম ফাইনালে উঠলো স্পেন। ইউরোর এক আসরে প্রথম দল হিসেবে ছয় ম্যাচ জিতলো তারা। শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হবে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের সেমিফাইনালের পর।