বগুড়ায় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ককটেল হামলা করেছে ছাত্রলীগ। বগুড়া শহরে এ সংঘর্ষে সাতমাথা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়ার মুখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাতমাথা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বগুড়া জিলা স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সাতমাথা সংলগ্ন বগুড়া জিলা স্কুল থেকে মিছিলটি বের হলে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে জিলা স্কুলের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী আহত হন।

ছাত্রলীগের হামলার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জলেশ্বরীতলা ও পুলিশ প্লাজা হয়ে পুনরায় সাতমাথার দিকে এগোতে থাকে। এসময় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলে ককটেল হামলা করেন। পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের এ হামলায় ক্ষুব্ধ হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরের টেম্পল সড়কে জেলা ছাত্রলীগের দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করেন। সাধারণ ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাতমাথা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করে সাতমাথার নিয়ন্ত্রণ নেয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ বিনা উসকানিতে দফায় দফায় ককটেল হামলা করে জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের আহত করেছে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা করেছে। এ ছাড়া সাতমাথা এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে।