জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, সংস্থা ও জোট এই সহিংস আন্দোলনের শিকারদের নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু তদন্তের নিন্দা ও দাবি জানিয়েছে।
মিডিয়া ২০০ টিরও বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছে, তবে সরকার বলছে এটি ১৪৭ জন মারা গেছে।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া অস্থিরতা 15 জুলাই সহিংস রূপ নেয়। ১৬ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে অস্থিরতার সময় সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়।
সরকারি পদে কোটা আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও ভুক্তভোগীদের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশকে প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।
নিউইয়র্কের সময় বুধবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেন।
বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়ে বলেন, “আমরা জাতিসংঘের কাছে আবেদন করেছি।
“আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থা আছে, বিশেষ করে বিদেশী, আমরাও ঘটনার সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্ত করতে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে তাদের সহযোগিতা চাই।”
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সহিংসতা ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে বাংলাদেশে একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধ অনুযায়ী তিনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত।