New York Bangla Life
বাংলাদেশ

বাংলাদেশে বন্যা: কেন ভেঙ্গে পরেছে বিশ্বমানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা?

সিরাজুল হোসেন, লেখক

নতুন সরকারের প্রথম দুর্যোগেই বিশ্বমানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভারত বন্যার অগ্রিম বার্তা দেয়নি, সেটাই সমস্যা, এটা মিথ্যা কথা।
.———————-
চলমান বন্যায় দেশের ১১ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত এটাই সরকারী হিসাব। ৫৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন মানুষ মানে কত মানুষ এটা কিন্তু ব্যাপক মানুষ নিয়ে পেশাগত কাজ যারা না করেছেন তাদের পক্ষে কল্পনা করাও কঠিন।

এই ৫৬,১৯,৩৭৫ জন মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই আজ ভয়ংকর মানবিক বিপর্যয়ে। খাবার নাই, পানি নাই, শোবার যায়গা নাই, উপার্জন বন্ধ, মজুদ ফসল নষ্ট, কৃষি জমি নষ্ট, গবাদি পশুও একই রকম বিপদে। পানি দূষিত হবার ফলে এর পর মানুষ ও গবাদি পশুদের রোগবালাইতো আছেই বিশেষ করে শিশুদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। এইসব খবর মিডিয়ায় নেই। আছে কে কত ত্রাণ দিল তার হিসাব।

বাংলাদেশের শহুরে মানুষ এবং পত্র পত্রিকা পড়লে মনে হয় কিছু খাদ্য, কাপড় আর টাকার রিলিফ দিয়ে দেওয়া মানেই বন্যার্তদের সহযোগীতা করা হয়ে গেল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে সমাপ্তি পর্যন্ত বিশাল কাজের মধ্যে রিলিফ হচ্ছে প্রাথমিক রেসপন্সের ৫% কাজও নয় (দুর্যোগ রকভারি চক্রের ছবিতে নির্দেশিত লাল বৃত্ত দেখুন)।

এই বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে বলা হয়েছে ১২ লাখ ৭ হাজার ৪২৯টি পরিবার। ৭৪ উপজেলায় বন্যা প্লাবিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪১টি ইউনিয়ন/পৌরসভায় সকল পরিবারের কাছে পৌঁছানো এবং তাদের সহযোগীতা করার যে মহাযজ্ঞ সেটার ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো এবং আইনগত বাধ্যবাধ্যকতা হল সবচেয়ে বড় বিষয়।

২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বরে ভূমিতে আঘাত করা বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিডরে সুন্দরবন এলাকা মারাত্মকভবে বিপর্যস্ত হয়। সেই সময় এখনকার মতই তখন অগণতান্ত্রিক জোর করে চেপে বসা সরকার যারা হুমকি ধামকি দিয়ে মানুষকে গ্রেফতার করে মাইনাস টু করে হুলুস্তুল বাধিয়ে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর চেষ্টা করছিল।

বিশাল ঝড়, ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়, আমাদের ধারণা ছিল সরকারের দপ্তরগুলো নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সামরিক বহিনী তখন পরোক্ষভাবে ক্ষমতায়। আমাদের মত সাধারন মানুষ যে যা পারছে টাকা, পয়সা, খাদ্য দ্রব্য, জামা কাপড় দিয়ে আসছে আর ভাবছে অনেক করছে।

প্রায় এক সপ্তাহ কেটে গেলেও সুন্দরবন এলাকা থেকে আমাদের কাছে খবর আসতে থাকে যে পরিস্থিতি ভাল নয়। তখন আমি আর পাগমার্ক ট্যুরসের বাচ্চু ভাই ঠিক করি যে আমাদের যেতে হবে। আমি আমার বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিতদের সহায়তায় বেশ কিছু টাকা, শুকনো খাবার, চাল, ডাল, রান্নার সরঞ্জাম, দেয়াশালাই, খাবার পানি এবং আরো নানা জিনিষ যোগাড় করে ফেললাম। পরের পর প্রশ্ন হল আমরা যাব কিভাবে।

খবর পেলাম যে জলছ্বাস, ভাঙ্গা গাছ পালা এবং রাস্তা ভেঙে যাওয়তে রিলিফের ট্রাক বেশি দুর যেতে পারে না। যারা নিয়ে যায় তখন তারা যত দুর যেতে পারে সেখানে গিয়েই সব দিয়ে দেয়। তখন আমরা ঠিক করলাম আমরা রাস্তা দিয়ে যাব না, নৌ পথে যাব, এতে বিপরীত দিক থেকে পৌছান যাবে। গাইড ট্যুরসের হাসান মনসুর মিলন ভাইকে অনুরোধ করার পর উনি ছুটি জাহাজটি আমাদের কয়েক দিনের জন্য দিয়ে দিলেন জ্বালানি সহ।

আমরা যাত্রাপথে দেখি সুন্দরবনের বন বিট অফিস ও ফাঁড়িগুলোতে থাকা বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীদের সবচেয়ে করুণ অবস্থা। ঝড় শেষ হলেও পরের সাত দিনে কেউ খবর নিতে আসেনি। হরিনটানা, দুবলা, কোকিলমনি, কটকা, কচিখালি সব অফিস ভেঙে গেছে, কনকর্মীদের থাকার যায়গা নেই, পানি নেই খাবার নেই, পোশাক নেই। আমাদের দেখে তারা কান্না শুরু করে দিল। আমরা প্রতিটা অফিসে যথেষ্ট রসদ দিয়ে বাউন্ডারির এলাকার শরনখোলার গ্রামগুলোতে রওনা দিলাম।

সেখানে গিয়ে আমরা দেখলাম প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাকে বলে। ধনী গরীব সকলে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু গরিবদের প্রাণ বাঁচানো দায়। প্রত্যেকটি পরিবার গত ১০ বছরে যা সঞ্চয় বা উন্নতি করেছিল সব শেষ। কিন্তু রিলিফ দিতে গিয়ে দেখলাম অন্য সমস্যা। ট্রাক নিয়ে রাস্তা থেকে রিলিফ দিলে মাত্র ২০% বাড়ির মানুষ রিলিফ পায়।

যে সব পরিবারে অনেক যুব বা অল্প বয়স্ক পুরুষ আছে তারাই ভিড়ের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে বেশিরভাগ রিলিফ নিয়ে যায় এবং তারা নানা স্থানে গিয়ে বার বার নেয়। যাদের রিলিফ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তারা পায় না। আমরা রিলিফ ছাড়া খালি হতে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে জরিপ করে কি দরকার সেটা জেনে তার পর সেটা বিতরণ করেছি।

কিন্তু গত এক যুগে আওয়ামী সরকার থাকার সময় সরকারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এতটাই উন্নতি হয়েছিল যে সেটা হয়ে গিয়েছিল বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর। আমরা যারা বিগত সরকারের সমালোচক ছিলাম তারা আশঙ্কা করেছিলাম কোভিড মহামারির সময় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়বে। আমাদের আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে বিগত সরকার সফলভাবে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করে। আমরা আশ্চর্য হয়েছিলাম যে এটা করা হয়েছিল এনজিওদের সহযোগীতা ছাড়াই। গত এক যুগে সরকারের গভর্নেন্স ক্যাপাসিটি বহুলাংশে বেড়েছিল।

বলেছি সরকারী কর্মকর্তাদের প্রশ্বাস নিতে হয় আইন মেনে এবং নিশ্বাস ফেলতে হয় আইন মেনে। এটাই হল বুরোক্র্যাসি। কিন্ত বুরোক্র্যাসি থাকলে জরুরী সরকারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাজ করে কিভাবে যেখানে দুর্যোগের আগাম সংকেত পেলেই কোন দেরি না করে সবাইকে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে?

লাগবে অর্থ, লাগবে দাপ্তরিক ক্ষমতা, লাগবে মানব সম্পদ ও থাকতে হবে আইন? তার জন্যই তৈরি করা হয়েছে স্ট্যান্ডিং অর্ডারস অন ডিজাস্টার (SOD)। এটি দুর্যোগ পরিস্থিতি দেখা দিলে কোন কেন্দ্রিয় বুরোক্র্যাসি ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানীয় সবাইকে সচল করে এবং নির্দিষ্ট কাজ করতে আইনগতভাবে বাধ্য করে।

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাটি এই বন্যার আগে পর্যন্ত একটি অত্যন্ত সমন্বিত ও কার্যকর প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হয়ে এসেছে। যেটা কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। স্ট্যান্ডিং অর্ডারস অন ডিজাস্টার (SOD), জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (NDMP), এবং হালনাগাদ দুর্যোগ আইন একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো প্রদান করে, যার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।


বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়া:

১। দুর্যোগ পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা প্রদান:
ক। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (BMD) এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB) নির্ভুল পূর্বাভাস প্রদান করে। তারা স্যাটেলাইট, রাডার এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (GIS) ব্যবহার করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আবহাওয়া ও জলস্তরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে।
খ। পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। মোবাইল নেটওয়ার্ক, টেলিভিশন, রেডিও, এবং সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে জনগণকে সতর্কবার্তা পৌঁছানো হয়।

২। দুর্যোগ প্রস্তুতি কার্যক্রম:
ক। জেলা প্রশাসক (DC), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO), এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাদের নিজ নিজ এলাকায় দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য ব্যবস্থা নেন। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা, জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া, এবং জরুরি খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
খ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, এবং বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে, যেমন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা, মেডিকেল টিম সরবরাহ এবং আশ্রয়কেন্দ্রে সহায়তা প্রদান।

৩। স্বয়ংক্রিয় অর্থায়ন: দুর্যোগ পূর্বাভাস পাওয়ার পরপরই জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অর্থ পাঠানো হয়, যা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়ক।

৪। দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া (রেসপন্স):
ক। দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (LDMC), যার নেতৃত্বে থাকেন জেলা প্রশাসক, দ্রুত সক্রিয় হয় এবং SOD অনুযায়ী পূর্ব নির্ধারিত দায়িত্ব পালন শুরু করে।
খ। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বাংলাদেশ পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে।
গ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের জন্য মেডিকেল টিম প্রেরণ করে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলিকে প্রস্তুত করে।

৫। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়:
ক। জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় পর্যায়ের তথ্য দ্রুত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ প্রেরণ করে। কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এবং সহায়তা প্রদান করা হয়।
খ। স্থানীয় এনজিও, যেমন ব্র্যাক, আশা, এবং গ্রামীন ব্যাংক, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, ত্রাণ বিতরণ এবং পুনর্বাসনে সহায়তা করে।

৬। পুনর্বাসন কার্যক্রম:
স্থানীয় প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) একযোগে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ, পুনর্বাসন এবং সামগ্রিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP), ইউনিসেফ, এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পুনর্বাসন কার্যক্রমে সহযোগিতা করে, যেমন খাদ্য সরবরাহ, পানি বিশুদ্ধকরণ, এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।

৭। প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি:
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, স্থানীয় এনজিও, এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্কুল, কলেজ, এবং কমিউনিটি সেন্টারে মহড়া এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যা জনগণের দুর্যোগ মোকাবেলা সক্ষমতা বাড়ায়।

ইউএনডিপির সহায়তায় তৈরি এই স্ট্যান্ডিং অর্ডারস অন ডিজাস্টার (SOD), জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (NDMP), এবং হালনাগাদ দুর্যোগ আইন অনুসারে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হলে এর যে অংশীজন বা লোকাল স্টেকহোল্ডারর্স, তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ লাগবে (ছবিতে লাল বৃত্ত দেখুন)। বর্তমান সরকার এসেই গণহারে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধী এবং অন্য অংশীজনদের অকার্যকর করেছে।

এর ফলে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাঠামোতে বেশ কয়েকটি ফাঁক তৈরি হয়েছে। এধরণের ফাক তৈরি হলে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া থেমে যায়। এর ফলেই এই বন্যার পূর্বাভাস ও দুর্যোগ প্রস্তুতি যেমন কাজ করেনি, তেমনই কাজ করেনি বন্যার পরে ত্রাণ বিতরণ। কাজ করবে না পরবর্তী পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনও।

নতুন সরকারের প্রথম দুর্যোগেই বিশ্বমানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভারত বন্যার অগ্রিম বার্তা দেয়নি সেটাই সমস্যা, এটা মিথ্যা কথা। এর জন্য যে অতিরিক্ত মৃত্যু হবে সেটা মৃত্যু নয়, হত্যা।

ছাত্রদের রিলিফ আর এনজিওদের হাজার কোটি টাকার হাইয়াই কথাবার্তা বা শায়খ আহমাদুল্লাহর বিশাল ডেকচি দিয়েও বড় আকারের দুর্যোগের সঠিক ব্যবস্থাপনা হয় না। আধুনিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি বা মনের সুখে করা কাজ নয়।


Related posts

দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারের অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না: তারেক রহমান

Ny Bangla

সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানালেন ড. ইউনূস

Ny Bangla

সারা বাংলাদেশে বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

Ny Bangla

৭ দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মাহমুদুর রহমান

Ny Bangla

মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অবদান কম কিসে?

Ny Bangla

জবাব তোমায় দিতে হবে, দেশটা তোমার একার নয়

Ny Bangla

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy