বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকারের ক্ষমতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আন্দোলন দমনের নামে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস চালিয়ে শত শত ছাত্র-জনতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সব দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে অনেককে তুলে নিয়ে গেলেও তাদের খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছে না।
অনেককে আটক করার পর আদালতে নেওয়ার আগে ও রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অমানুষিক ও অমানবিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ডিবি কার্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের তুলে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করছে। নির্যাতনের মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা যায়, কিন্তু আবেগ-অনুভূতি ও সঙ্গীদের রক্তমাখা শার্টের গন্ধ শিক্ষার্থীদের বিবেককে সব সময় তাড়া করবে। সুযোগ পেলেই তাঁরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেটির বহিঃপ্রকাশ ঘটাবেন।
আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের যে সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেছে, সেটি গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের না খুঁজে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমনে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের ঘটনাকে আতঙ্কজনক বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান না পাওয়ার ঘটনাকে গভীর উদ্বেগজনক বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি অবিলম্বে তাঁদের জনসমক্ষে হাজির করার আহ্বান জানান।
previous post