বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হতে হবে জনকেন্দ্রিক, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. তৌহিদ হোসেন।তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক সরকার বা দলের ও ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা চাই, জনসাধারণের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠুক। দুদেশের মানুষের মাঝে এই বিশ্বাস তৈরি হোক যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব ভালো আছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংকালে ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সোনালী অধ্যায় ছিল কিনা’ শীর্ষক এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের মনে সৃষ্ট ক্ষোভ প্রশমিত করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দেশে ছাত্র বিপ্লবের পর ভারতীয় মিডিয়া অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রচার করে, তাই আন্তর্জাতিক মিডিয়া যেসকল বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ করে, তারা (ভারতীয় মিডিয়ার) এই মতকে মেনে নেয়নি বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের বিষয়টি পশ্চিমা বিশ্বের স্বীকার করা উচিত বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘যে-সব ইস্যুতে টানাপড়েন চলছিল, এগুলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং ছাত্র-জনতার এজেন্ডার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। কাজেই, এখানে দ্বন্দ্বের কোন সুযোগ দেখি না।’
পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও গতিশীল সম্পর্ক চাই। আমি মনে করি কোন এক পর্যায়ে কোন এক কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে একটু টানাপড়েন ছিল। এখন স্বাভাবিক একটা সম্পর্কে যদি উন্নীত হয়, আমাদের সবার খুশি হওয়া উচিত।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে যাদের কাজ আছে শুধু তাদের একটি ছোট বহর নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কে যাবেন বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
previous post
next post