নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন গ্রহণ করে কামালা হ্যারিস তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত মায়ের স্মৃতিচারণা করেছেন।
শিকাগোতে বৃহস্পতিবার দলের জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেন, তাঁর মা শ্যামলা গোপালান হ্যারিস মাত্র ১৯ বছর বয়সে ভারত থেকে অ্যামেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় একা পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাঁর দুর্দমনীয় স্বপ্ন ছিল, একজন বিজ্ঞানী হবেন; যিনি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবেন।
কামালা বলেন, ‘আমার মা শ্যামলা হ্যারিসের ছিলেন এক নিজস্ব সত্তা। আমি তাঁকে প্রতিদিন অনুভব করি, বিশেষ করে বর্তমান সময়ে। আমি জানি, তিনি আজকের এ রাতের দিকে তাকিয়ে আছেন এবং হাসছেন।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের উঠে আসার পেছনে বেশির ভাগ ভূমিকা রয়েছে মায়ের। একটি বাড়ি কিনতে সমর্থ হওয়ার আগে ইস্ট বে–তে ছোট এক অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করেছিলেন তিনি। সেখানে পাহাড়ি এলাকা বা সমতল ভূমি—দুই জায়গাতেই আপনি থাকতে পারবেন। আমরা সমতলে থাকতাম। সেটি ছিল অগ্নিনির্বাপণকর্মী, নার্স, নির্মাণকর্মী—এমন সব শ্রমজীবী মানুষের এক সুন্দর আবাসস্থল।’
শ্যামলা গোপালান হ্যারিস ছিলেন ব্রেস্ট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ। বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এন্ডোক্রাইনোলজিতে ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করতে ১৯৬০ সালে ভারতের তামিলনাড়ু থেকে অ্যামেরিকায় আসেন তিনি।
সমর্থকদের সামনে বক্তৃতায় কামালা বলেন, ‘যখন মা তাঁর ডিগ্রি অর্জন করেন, তখন পারিবারিক পছন্দে বিয়ে করতে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি ছিলেন জ্যামাইকা থেকে আসা ছাত্র। তাঁরা একে অপরকে ভালোবাসেন ও বৈবাহিক সম্পর্কে জড়ান। পরে বোন মায়া ও আমার জন্ম হয়।’
শিকাগোর অনুষ্ঠানে কথা বলেন কামালার বোন মায়া হ্যারিসও। তিনি তাঁর মা শ্যামলা হ্যারিস উন্নত জীবনের আশায় কীভাবে ভারত থেকে অ্যামেরিকা পাড়ি জমান এবং তাঁর মেয়েদের ‘নিজেদের গল্পের রূপকার’ হতে উৎসাহিত করেন, সে বিষয় তুলে ধরেন।
মায়া আরও বলেন, যদি তাঁদের প্রয়াত মা এখানে উপস্থিত থাকতেন, তবে তিনি তাঁর কন্যাদের নিয়ে কতটা গর্বিত, তা বলতেন। এরপর তিনি বলেন, ‘অনেক হয়েছে। আপনাদের কাজ করতে হবে।’

previous post