আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় এবার প্রথম শনাক্ত হয় মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। তবে দেশটির সীমানা ছাড়িয়ে আরও কয়েকটি দেশে সংক্রামক এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। শনাক্ত হয়েছে আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায়। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এমপক্স দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে। তা হলো করোনা মহামারির ক্ষত না শুকাতে বিশ্বজুড়ে নতুন করে কি আরেকটি মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে?
যতদূর জানা যায়, এমপক্স ছড়ায় ত্বক থেকে ত্বকে। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে তবেই। তবে এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে দৃশ্যমান ক্ষত দেখা দেয়। কাজেই এমন ক্ষত দেখার পর যে কারও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশ কম। ফলে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার গতি হবে মন্থর।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এমপক্স থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিরাপদে থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই শৌচাগার, কাপড় ও বিছানার চাদর ব্যবহার করা যাবে না। হাত ধোয়ার মতো মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) জানায়, আফ্রিকা থেকে ইউরোপে এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে ইউরোপে স্থানীয়ভাবে এর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা তুলনামূলক কম।
২০২২ সালের এমপক্সের সংক্রমণের কথা জানা যায়। তখন ৭০টির বেশি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। তবে কয়েক মাসের মধ্যে সংক্রমণে লাগাম টানা গিয়েছিল। এর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল টিকা কার্যক্রমের। এমনকি ধনী দেশের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা এমপক্সের টিকা ও ওষুধ নিয়েছিলেন।
এখন এমপক্স সংক্রমণের বেশির ভাগই আফ্রিকায়। বিশেষ করে ৯৬ শতাংশ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কঙ্গোয়। কঙ্গো দাতাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ লাখ এমপক্সের টিকা চেয়েছে। এখনো কোনো টিকা হাতে পায়নি। আফ্রিকায় এমপক্স সংক্রমণের লাগাম টানতে বিশ্বের এখন নিজের স্বার্থেই বিনিয়োগ করা দরকার।