বিশ্ববাজারে ডলারের দাম সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। অ্যামেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সুদের হার কমিয়ে দেবে এমন ধারণায় ডলারের দাম কমছে। ফেড চেয়ারম্যান এ বিষয়ে কিছু বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, ডলার বিনিময়মূল্য কম হওয়ায় ইউরো কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। ইউরোর মান এখন এই বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ড স্টার্লিং-এর বিনিময় হারও গত এক মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। এছাড়া উদীয়মান বাজারের মুদ্রা সূচক রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে।
জাপানের মুদ্রা ইয়েনের দামও বেড়েছে। ১৪৬ দশমিক ৫০ ইয়েন ইয়েন এখন প্রতিটি ডলারের বিপরীতে উপলব্ধ। ফলে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ইয়েন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বক্তৃতা দেবেন। বিনিয়োগকারীরা এখন সেদিকেই তাকিয়ে আছেন। বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী আশা করেন জেরোম পাওয়েল সুদের হার কমানোর বিষয়ে কিছু বলবেন। বিনিয়োগকারীরা তার কথা থেকে অনুমান করতে চান ঠিক কতটা ফেড আগামী মাসে সুদের হার কমিয়ে দেবে—২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ৫০বেসিস পয়েন্ট।
এর আগে পাউন্ডের বিপরীতে বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। প্রতি পাউন্ডের বিনিময়ে ১ দশমিক ২৯ ডলার পাওয়া গেছে। এদিকে ডলার সূচক ২ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ডলার সূচক দাঁড়িয়েছে ১১০১ দশমিক ৮২ এ। চলতি মাসে এই সূচকের মান দুই শতাংশের বেশি কমেছে।
এ নিয়ে টানা দুই মাস ধরে নিম্নমুখী সূচক। উল্লেখ্য যে, বাজারের নিয়ম হল পলিসি সুদের হার বাড়লে ডলারের বিনিময় হার বাড়ে। যখন ইউএস পলিসি রেট বাড়ে, তখন বন্ড ইয়েল্ডও হয়। ফলস্বরূপ, বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা অ্যামেরিকা ডলার-নির্দেশিত বন্ড কেনার দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফলে ডলারের চাহিদা বাড়ছে। তখন এর বিনিময় হারও বেড়ে যায়।

previous post