২০১৬ সালে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নেওয়ার আট দিন পর ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ইদ্রিস আলীর লাশ পাওয়া যায়।
ঘটনার আট বছর পর নিহত ব্যক্তির ছেলে মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে হরিণাকুণ্ডু আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।
মামলায় তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) আলতাফ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোপিনাথ কাঞ্জিলাল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন, উপপরিদর্শক (এসআই) শাখাওয়াত হোসেনসহ ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহীনুর রহমান, সমকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুজ্জামান তাজুকেও আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পাশের শৈলকুপা উপজেলার দেবীনগর ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের সড়কের মোড় থেকে তাঁর বাবা রঘুনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ইদ্রিস আলীকে তৎকালীন পুলিশ সুপারের আদেশে আসামির তালিকায় থাকা পুলিশ সদস্যরা সাদাপোশাকে তুলে নিয়ে রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান।
বিষয়টি জানার পর পরিবারের পক্ষ থেকে ক্যাম্পে যোগাযোগ করার পরও বাবা সেখানে নেই বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলেও নেওয়া হয়নি।
আরজিতে আরও বলা হয়, তুলে নেওয়ার আট দিন পর হরিণাকুণ্ডু-ঝিনাইদহ সড়কের জোড়াপুকুরিয়া মাঠ এলাকায় সড়কের ওপর তাঁর বাবার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। তাঁকে হত্যা করে সড়কে ফেলে রাখা হয়েছিল। তখন ময়নাতদন্তের নাম করে তাঁদের কাছ থেকে জোর করে পুলিশ একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিল বলে আরজিতে দাবি করা হয়।
১ সেপ্টেম্বর মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন।
