বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত। শেখ হাসিনা টানা ১৫ বছরেরও বেশি ক্ষমতায় থাকাকালীন। দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়েছে। কৌশলগতভাবে আওয়ামীলীগের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো থাকে।
শেখ হাসিনার ক্ষমতা চুক্তির পর প্রশ্ন উঠেছে মোদির সরকার নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কিভাবে যোগাযোগ রক্ষা করবে তা নিয়ে। ভারত ওএই বিষয়ে সতর্কতার সাথে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের বিশ্লেষণে জানা যায় , ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ৪১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে মানবপাচার, অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়া দিল্লি। বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার পশ্চিমবঙ্গ আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তে প্রায় সহিংস, বিদ্রোহের জন্য পরিচিত হয় সেটি ভারতের জন্য আলাদা চিন্তার বিষয়।
নিরাপত্তা ও ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেখ হাসিনার প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল ছিল ভারত। পার বিদায় এখন নয়া দিল্লির জন্য একটি কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
ভারতের আরেকটি উদ্বেগ হচ্ছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবস্থান। বাংলাদেশে মোট ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসবাস।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারত ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং দেশটিতে শেখ হাসিনাকে উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে কোন উত্তেজনক সৃষ্টি হোক সেটাও চান না।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মোঃ তৌফিক হোসেন বলেন, হাসিনার ভারতে অবস্থান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না।
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে ঢাকা ও নয়া দিল্লির মধ্যে শক্তিশালী কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। ভারতীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ছিল দক্ষিণ এশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
দুই দেশের মধ্যে প্রায় ১৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ছিল। দুই দেশেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা করতে চেয়েছিল।
এই মুহূর্তে ভারত তার বিভিন্ন বিকল্প খোলা রেখেছে এবং হাসিনা কতদিন ভারতে থাকবেন তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয়নি।
previous post
next post