বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়াটি চলছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে যেকোনো সময় ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরকে জড়িত থাকার অভিযোগ করে আসছিলেন সরকারের মন্ত্রীরা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪-দলীয় এক সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একমত হন শীর্ষ নেতারা।
২০১৩ সালে আদালতের রায়ে নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল জামায়াতের পক্ষ থেকে।
তবে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে দলটির।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হলেও পরে সে বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।
previous post